বাসক পাতা গুঁড়ো বা চূর্ণের অনেক উপকারিতা রয়েছে, বিশেষ করে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাগুলির জন্য। এটি একটি অত্যন্ত পরিচিত ভেষজ উপাদান।
বাসক পাতার কয়েকটি প্রধান উপকারিতাঃ
- সর্দি-কাশি নিরাময়ে কার্যকর: বাসক পাতা গুঁড়া কাশি এবং কফ কমাতে খুব উপকারী ফলে কাশি ও কফের কষ্ট কমে। এতে থাকা ‘ভাসিসিন’ নামক উপাদান কফ তরল করে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
- শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানিতে (Asthma) আরামদায়ক: এটি শ্বাসনালীকে প্রশস্ত রাখতে সাহায্য করে, যা শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির মতো সমস্যায় আরাম দেয়। এটি ব্রঙ্কাইটিসের চিকিৎসায়ও সহায়ক।
- ঠাণ্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধে: এটি সর্দি, ঠাণ্ডা লাগা এবং জ্বর কমাতে সাহায্য করে। এর গুণাগুণ ফুসফুসকে পরিষ্কার রাখতেও সহায়তা করে।
- জীবাণু প্রতিরোধী: বাসক পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
- গলা ব্যথা উপশম: এর নির্যাস গলা ব্যথা এবং গলার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- অন্যান্য ব্যবহার: কিছু ক্ষেত্রে এটি ত্বকের সমস্যা (যেমন: দাদ, চুলকানি), বাতের ব্যথা এবং জন্ডিসের চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয়।
সেবনবিধি: ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চা চামচ বাসক পাতা গুঁড়া ও মধু মিশিয়ে পান করুণ। অথবা, স্যুপ, শরবত বা ভেষজ চা-তে সামান্য বাসক পাতা গুঁড়া মিশিয়ে খাওয়া যায়। প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে সর্বোচ্চ ২ বার পান করতে পারেন। অতিরিক্ত খেলে পাতলা পায়খানা বা বমি হতে পারে।
সতর্কতা:
১. গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের এটি সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২. শিশুকে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে পরিমাণ কম ব্যবহার করুন এবং দিনে একবারের বেশি খাওয়াবেন না।
৩. ঠান্ডা ও শুকনো স্থানে সংরক্ষণ করুন।

