আখরোট এক ধরণের বাদাম যা হালকা কুড়কুড়ে এবং এর খোসা শক্ত। এটি মস্তিষ্ক আকৃতির একটি বাদাম। মধ্য এশিয়া এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এর উৎপত্তি। সারা বিশ্বে এর কদর রয়েছে এবং বিভিন্ন খাবারে এটি ব্যবহার করা হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত আখরোট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আখরোটে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
কেনো আমাদের আখরোট বেছে নিবেন?
- আমরা নিয়ে আসি সেরা মানের আখরোট, যা সরাসরি যক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হয়।
- আমাদের আখরোটগুলো নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রক্রিয়াজাত করা হয়, তাই এতে কোনো প্রকার ধুলা-বালি বা ক্ষতিকর কণা থাকার কোনো সুযোগ নেই।
- আখরোট দীর্ঘদিন সংরক্ষণ রাখার জন্য আমরা কোনো ধরনের কৃত্রিম রাসায়নিক বা প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করি না ফলে আপনি পাচ্ছেন ১০০% বিশুদ্ধ এবং স্বাস্থ্যকর আখরোট এবং আখরোটের গুণাগুণ ও সতেজতা থাকে একদম প্রাকৃতিক।
আখরোট বাদামের উপকারিতাঃ
- মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: আখরোটে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে আখরোট আলঝেইমার এবং স্মৃতিভ্রংশের মতো রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস: আখরোট খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL) মাত্রা কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরলের (HDL) মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
- হাড়ের স্বাস্থ্য: আখরোটে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান, যা হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: আখরোট খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে, যা অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখে। এতে থাকা ফাইবার এবং প্রোটিন ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত আখরোট খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধ: আখরোটে থাকা পলিফেনল এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং কিছু ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
- পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি: আখরোটে ফাইবার থাকায় এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
আখরোট বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। যেমনঃ আখরোট সরাসরি বাদামের মত চিবিয়ে খেতে পারেন। সকালের নাস্তায় অথবা দিনের যেকোনো সময় এটি স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। সালাদের সঙ্গে আখরোট মিশিয়ে খেলে স্বাদ এবং পুষ্টি দুটোই বাড়ে। কেক, কুকিজ, ব্রাউনি এবং অন্যান্য মিষ্টিতে আখরোট ব্যবহার করা হয়। এটি খাবারের স্বাদ ও গঠন উন্নত করে। সকালের নাস্তার সময় দই বা ওটসের সাথে আখরোট মিশিয়ে খেতে পারেন। আখরোটের পেস্ট বা মাখন তৈরি করে রুটি বা টোস্টের সাথে খাওয়া যায়।

