কোয়েল পাখির মাংস পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং স্বাদেও বেশ সুস্বাদু। এটি স্বাস্থ্যকর মাংস হিসেবে বেশ জনপ্রিয়, বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের কাছে। কোয়েলের মাংস রান্না করা বেশ সহজ এবং এটি দ্রুত সিদ্ধ হয়ে যায়। তাই ঝটপট একটি স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার তৈরি করতে চাইলে কোয়েলের মাংস একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। কোয়েল পাখির মাংস বিভিন্ন ধরনের রেসিপিতে ব্যবহার করা যায়। এর নরম ও মসৃণ গঠন এটিকে বিভিন্ন রান্নার জন্য উপযোগী করে তোলে। আপনি এটি দিয়ে বিভিন্ন পদ তৈরি করতে পারেন:-
- ভুনা বা ঝাল রোস্ট: কোয়েল পাখির মাংস মশলা দিয়ে ভুনা বা ঝাল রোস্ট করে খেতে পারেন। এটি খুব জনপ্রিয় একটি পদ।
- ফ্রাই: সামান্য মশলা মাখিয়ে তেলে হালকা ভেজে ফ্রাই তৈরি করতে পারেন। এটি মুচমুচে এবং সুস্বাদু হয়।
- রেজালা: মুরগির মাংসের রেজালার মতোই কোয়েলের মাংস দিয়েও সুস্বাদু রেজালা বানানো যায়।
- বিরিয়ানি: বিরিয়ানি বা পোলাওয়ের সঙ্গে কোয়েলের মাংস দিয়ে সুস্বাদু পদ রান্না করা যায়।
কোয়েল পাখির মাংসের উপকারিতাঃ
- উচ্চ প্রোটিন ও কম ফ্যাট: কোয়েলের মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি এবং ফ্যাট বা চর্বি অনেক কম থাকে। তাই এটি হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। এটি শরীরের কোষ গঠন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই মাংস নরম এবং সহজে হজম হয়।
- হাড় ও দাঁত মজবুত করে: কোয়েলের মাংসে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান থাকে, যা হাড় এবং দাঁতের গঠন মজবুত করতে সহায়ক।
- রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ: এতে থাকা আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: কোয়েলের মাংসে কোলেস্টেরল কম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
- মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: ভিটামিন বি৬ এবং বি১২ এর মতো উপাদান স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখে, মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।
- গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী: এতে থাকা ফলিক অ্যাসিড গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে সহায়ক।