ঘি আসলে কী ?
ঘি হলো এক প্রকার পরিশোধিত মাখন যা খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বৃদ্ধিতে ঐতিহ্যগত ভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। রান্নার ক্ষেত্রে ঘি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং অপরিহার্য উপকরণ। ঘি আমাদের খাবারের স্বাদকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় তাই আমরা রান্নায় ঘি ব্যবহার করে থাকি। বিশেষ করে পোলাও, কোরমা, বিরিয়ানি, মাংস, বিভিন্ন ভর্তা ও ভাজিতে ঘি ব্যবহৃত করা হয়।
খাঁটি ঘি এর উপকারিতা:
- ভিটামিন: এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন কে এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন পাওয়া যায়।
- হজমশক্তি বৃদ্ধি: ঘি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণে সহায়তা করে।
- হাড়ের স্বাস্থ্য: ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম থাকার কারণে ঘি হাড় ও জয়েন্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সক্রিয় রাখে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বা ফ্রি-র্যাডিকেল বের করে দেয়।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: যদিও ঘি-তে ফ্যাট থাকে, তবে এটি সঠিক পরিমাণে খেলে ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে। ঘিতে থাকা কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলাতে এবং মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
- শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি: ঘি শরীরকে দীর্ঘস্থায়ী শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের কোষ ও টিস্যু মজবুত করে। এটি শরীরকে সতেজ ও সচল রাখতে সাহায্য করে।
আমাদের গাওয়া ঘি কেনো সেরা?
- আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে গাভীর খাঁটি দুধ সংগ্রহ করা। কারণ, উৎকৃষ্ট মানের গাওয়া ঘি তৈরিতে গাভীর খাঁটি দুধ নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরী।
- খাঁটি দুধ সংগ্রহ করার পর অভিজ্ঞ কারিগর দ্বারা সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াজাতটি নিজেস্ব তত্ত্বাবধানে করা হয়।
- আমাদের গাওয়া ঘি তে কোনো প্রকার কৃত্রিম ফ্লেভার বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না, আর তাই ঘি হয় উৎকৃষ্ট মানের ও শতভাগ ভেজালমুক্ত।
- খাঁটি দুধের কঠিন পদার্থগুলো সোনালি বা হালকা বাদামী রঙ ধারণ করা পর্যন্ত জ্বালানো হয়, যা ঘি কে তার নিজস্ব মতো স্বাদ ও গন্ধ দেয়।
- জ্বাল করা গরম ঘি ঠান্ডা হওয়ার পর, পরিষ্কার একটি ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে বিশুদ্ধ গাওয়া ঘি আলাদা করা হয়।
- স্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাওয়া ঘি তৈরি হওয়ার পর মোড়কজাত ও বাজারজাত করা হয়।
মনে রাখবেন, ঘি একটি স্বাস্থ্যকর উপাদান হলেও, পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। অতিরিক্ত পরিমাণে ঘি গ্রহণ করলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।