বাদামের তেল আমেরিকা, চায়না, দক্ষিণ এশিয়া এবং সাউথ ইস্ট এশিয়ার অনেক দেশেই বেশ জনপ্রিয়। বাদামের তেলে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল থাকেনা। ১০০ গ্রাম তেলে ৮৮৪ ক্যালরি থাকে এবং ফ্যাট থাকে ১৭ গ্রাম। চিনাবাদামের তেল একটি পুষ্টিগুণে ভরপুর প্রাকৃতিক তেল, যা বিভিন্ন দেশে রান্নার পাশাপাশি স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য চর্চায় ব্যবহৃত হয়।
চিনাবাদামের তেলের ব্যবহারঃ
- রান্নার তেল হিসেবে: উচ্চ তাপমাত্রায় রান্নার জন্য চিনাবাদামের তেল খুব উপযোগী, কারণ এর স্মোকিং পয়েন্ট (যে তাপমাত্রায় তেল ভেঙে যায়) বেশ উচ্চ। এটি ভাজাভুজি, সতে এবং বিভিন্ন ধরনের রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। এর একটি হালকা মিষ্টি স্বাদ আছে, যা সালাদের স্বাদ বাড়িয়ে তোলে।
- ত্বকের যত্নে: এটি একটি চমৎকার প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার, যা ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, চিনাবাদামের তেল ব্ল্যাকহেডস প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে।
- চুলের যত্নে: চুলকে আর্দ্রতা দেয় এবং শুষ্কতা কমায়। এতে থাকা ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
- ম্যাসাজ তেল হিসেবে: এটি শরীর মালিশের জন্য একটি জনপ্রিয় তেল, যা পেশী ও গাঁটের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। এটি শরীরকে শক্তি জোগাতেও সাহায্য করে।
চিনাবাদামের তেলের উপকারিতাঃ
- হৃদরোগ প্রতিরোধ: এতে থাকা মোনোস্যাচুরেটেড এবং পলিঅনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের “খারাপ” কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে এবং “ভালো” কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- হাড়ের স্বাস্থ্য: এতে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ থাকে, যা হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
- পুষ্টির উৎস: এতে প্রোটিন, ভিটামিন ই, বি কমপ্লেক্স, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, জিঙ্ক এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ থাকে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- প্রদাহ কমায়: এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।


