অর্গানিক ডিমের বৈশিষ্ট্যঃ
অর্গানিক ডিমের উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে পরিচালিত হয়, যার ফলে উৎপাদিত ডিমে কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক বা রাসায়নিক ক্ষতিকর পদার্থ থাকে না। এই ডিমগুলো বিভিন্ন ভেষজ উপাদানের নির্যাস ও গুণাগুণ সম্পন্ন। এই মুরগিগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয়, যা ৫২টি ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি। বিশেষ করে এর মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি খাওয়ানো হয় এতে রয়েছে ওমেগা-3। তাছাড়া রয়েছে মধু, কালিজিরা, হলুদ, মেথি ও আরো অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান। এর ফলে বাজারের সাধারণ ডিমের চেয়ে অর্গানিক ডিম অনেক বেশি পুষ্টিকর।
কেন অর্গানিক ডিমের দাম বেশি?
অর্গানিক ডিমের উৎপাদন খরচ সাধারণ ডিমের তুলনায় কিছুটা বেশি। এই মুরগিগুলোকে একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো হয়। আমাদের মুরগি গুলোকে ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি রোগের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের বদলে হারবাল এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রধান করা হয়। এসব কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়, যার ফলে ডিমের দামও একটু বেশি হয়। অন্যদিকে, বাজারে যেসব ডিম পাওয়া যায়, সেসব মুরগির খাবারের স্বাস্থ্যমান নিয়ে আমাদের মধ্যে সংশয় থেকেই যায়। বাজারের ডিম গুলো আমাদের শরীরকে ধীরে ধীরে স্বাস্থ্য ঝুঁকির দিকে নিয়ে যায়।
অর্গানিক ডিমের উপকারিতাঃ
- গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য: অর্গানিক ডিম গর্ভবতী মা ও শিশুর বিকাশে এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সহায়ক।
- পুষ্টিগুণ: অর্গানিক ডিম ওমেগা-3 এবং ভেষজ গুণাবলী সম্পন্ন যা আপনার ও আপনার পরিবারের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: এতে ৫০% অতিরিক্ত প্রোটিন, ক্যালরি ও অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরে ওমেগা-3 ঘাটতি পূরণ করে।
- শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ: এটি বাড়ন্ত শিশুদের শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে এবং হাড় গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
- বয়স্কদের জন্য: এটি বয়স্কদের চোখের ব্যথা, মাইগ্রেন এবং দাঁতের ক্ষয় (caries) প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য: এই ডিম অ্যান্টিবায়োটিক ও ক্রোমিয়াম মুক্ত এবং এতে ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকে, যা হৃদপিণ্ডকে সতেজ রাখতে সহায়ক।

