লইট্টা শুঁটকি বেশ পরিচিত এবং চাহিদা সম্পন্ন একটি শুঁটকি। লইট্ট্যা মাছ মূলত সামুদ্রিক মাছ। লম্বা আকৃতির এই মাছের শুঁটকির রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। শুঁটকির কথা আসলেই আমাদের মাথায় সবার প্রথমে আসে DDT এর নাম। DDT এর পূর্ণরূপ Dichloro Diphenyl Trichloroethane এই উপাদানটি স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝুঁকিকর উপাদানটির জন্য অধিক পুষ্টিকর শুঁটকি অনেকেই খেতে চান না। তবে আমাদের শুঁটকিতে থাকে না এমন কোন ক্ষতিকর উপাদান। বরং এটি অধিক পুষ্টিমান সমৃদ্ধ একটি খাদ্য উপাদান যা দেহে প্রোটিনের যোগান নিশ্চিত করে। তাই এমনই লইট্টা শুঁটকি সরবরাহ করছি আমরা।
লইট্টা শুঁটকিঃ
- স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে প্রক্রিয়াজাতকৃত। ফলে কোন ধরনের রাসসায়নিক এবং কীটনাশক ব্যবহৃত হয় না।
- এতে আছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, প্রায় ৬০ – ৬৫ শতাংশ।
- এতে ফ্যাট বা তেলের পরিমাণ বেশ কম। ফলে অপেক্ষাকৃত অধিক স্বাস্থ্যসম্মত।
- শুকিয়ে ফেলা হয় বিধায় এতে খনিজ উপাদানগুলো অপাক্ষাকৃত অধিক পরিমাণে উপস্থিত থাকে।
- অধিক মাত্রায় ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস বিদ্যমান যা মজবুত হাড় গঠনে আবশ্যক।
কেনো আমাদের লইট্টা শুঁটকি সেরা?
- সরাসরি কক্সবাজার থেকে মাছ সংগ্রহ করে শুঁটকি প্রস্তুত করা হয়।
- বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইন্সটিটিউটের কারিগরি সহায়তায় নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করা করা হয়।
- সম্পূর্ণরূপে DDT এবং অন্যান্য রাসায়নিক মুক্ত এবং সেলুলেট-নেট ব্যবহার করা হয় যেনো মাছি ও অন্যান্য পোকামাকড় প্রবেশ করতে না পারে।
- শুকানোর জন্য ফ্যান এর ব্যবস্থা করা আছে যেনো বাতাসের ফ্লো বজায় থাকে এবং ড্রাই সেকশনের আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখা হয়।
- উন্নতমানের প্যাকেজিং এর জন্য নষ্ট হওয়ার ভয় কম থাকে।
- তোহফার অর্গানিক শুঁটকিতে মাংসল অংশের পরিমাণ বেশি থাকে। কেননা মাথা, লেজ, কানকো, নাড়িভুড়ি ব্যতিত শুধুমাত্র মাংসল অংশ থেকে শুঁটকি প্রস্তুত করা হয়। ফলে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ থাকে না।