কালিজিরা চাল বাংলাদেশের বিখ্যাত সুগন্ধি চাল। এই চাল অনেকটা কালিজিরার মতো ছোট দেখতে তাই একে কালিজিরা চাল বলা হয়। আমাদের কালিজিরা ধান সংগ্রহ করা হয়েছে দিনাজপুর এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে। তাই প্রাথমিকভাবে অল্প পরিমাণ সার দেওয়ার পর কোনো সার বা কীটনাশক ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। ফলে এ অঞ্চলে কালিজিরা চালের মান ও স্বাস্থ্যমূল্য সবচেয়ে বেশি। এই চাল দিয়ে রান্না করা ভাত অথবা পোলাও সুগন্ধে শুধু পেট নয় মনও ভরবে। (ইনশাআল্লাহ)
কেন আমাদের পোলাও চাল সেরা?
আমাদের পোলাও চালের অনন্য গুণাবলীর কারণে এটি বাজারের অন্যান্য চাল থেকে আলাদা। এই চালের বিশেষত্বগুলো হলো:-
- ১০০% খাঁটি এবং পুষ্টিকর: আমাদের চাল সরাসরি গ্রাম এর কৃষক পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা, যেখানে এটি স্থানীয় হাস্কিং মিলে ভাঙানো হয়। এতে কোনো রকম কাটিং বা পলিশ করা হয় না, ফলে চালের প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে।
- জৈব সার ও সর্বনিম্ন কীটনাশকের ব্যবহার: এই চাল উৎপাদনে জৈব সার বেশি ব্যবহার করা হয় এবং রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার সবচেয়ে কম করা হয়। ফলে এটি স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব।
- প্রাকৃতিক সুগন্ধ ও স্বাদ: আমাদের চালে কোনো কৃত্রিম সুগন্ধি মেশানো হয় না। এর অসাধারণ সুগন্ধ ও সুস্বাদু পোলাও রান্নার জন্য এটি আদর্শ। এর প্রাকৃতিক ঘ্রাণ আপনার রান্নার অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দময় করে তুলবে।
- আমরা নিশ্চিত করি যে এই চালের প্রতিটি দানা খাঁটি এবং উচ্চ মানের হয়, যা আপনার স্বাস্থ্য এবং রান্নার মান উভয়ই নিশ্চিত করে।
পোলাও চালের ব্যবহারঃ
- বিরিয়ানি ও পোলাও: পোলাও চালের প্রধান এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবহার হলো পোলাও, বিরিয়ানি ও কাচ্চি রান্না করা। এই চালের দুটি বৈশিষ্ট্য সুগন্ধ এবং ঝরঝরে যা খাবারকে আরো বেশি আদর্শ করে তোলে।
- খিচুড়ি: বিভিন্ন ধরনের খিচুড়ি, যেমন- ভুনা খিচুড়ি বা নরম খিচুড়ি তৈরিতেও পোলাও চাল ব্যবহার করা হয়।
- মিষ্টান্ন: পোলাও চাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, যেমন- পায়েস, ফিরনি, জর্দা, জাও ইত্যাদি তৈরি করা হয়।
- অন্যান্য খাবার: কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ভাতের পদ, যেমন- সবজি দিয়ে স্বাস্থ্যকর পোলাও, তৈরিতেও এই চাল ব্যবহার করা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ পোলাও চালকে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত করা হয় না, ফলে এতে পুষ্টিগুণ তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে। তবে, অন্যান্য সাদা চালের মতোই, এতেও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে, যা রক্তের শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণে এটি গ্রহণ করা উচিত।

