গ্রিন টি একটি চমৎকার স্বাস্থ্যকর এবং উপকারী পানীয়। এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অন্যান্য চা অপেক্ষা অনেক বেশি। যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা ডিটক্স পানীয় হিসেবে নিয়মিত এটি পান করে থাকেন। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গ্রীন টি এর জুড়ি নেই। এই চা এর মূল উৎপত্তিস্থল চীন হলেও বর্তমানে এর উৎপাদন এশিয়ার অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের সিলেটের এর চাষ করা হয়। আমাদের দেশের গ্রীন টি এর জনপ্রিয়তা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনাদের সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে তোহফা সরবরাহ করছে শতভাগ বিশুদ্ধ এবং নিরাপদ হেন্ডমেড আস্ত পাতা গ্রিণ টি।
আমাদের গ্রিন টি কেন সেরা?
আপনি যদি খাঁটি ও মানসম্মত গ্রিন টি’র সন্ধান করে থাকেন, তাহলে তোহফা’র গ্রিন টি হতে পারে আপনার জন্য সেরা পছন্দ। প্রথাগত গ্রিন টি’র তুলনায় তোহফার গ্রিন টি’র কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা একে অনন্য করে তুলেছে।
১. আস্ত পাতার প্রিমিয়াম স্বাদ: তোহফা গ্রিন টি তৈরি হয় আস্ত, চা-এর পাতা থেকে হাতে তৈরি করা। ফলে এর প্রাকৃতিক সুগন্ধ, স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ পুরোপুরি বজায় থাকে। অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত গ্রিন টি’র মতো এটি গুঁড়ো করা হয় না। এই বিশেষ যত্নই তোহফার গ্রিন টি’কে অন্যান্য সাধারণ চায়ের চেয়ে আলাদা করে তোলে।
২. প্রাকৃতিক গুণাগুণের নিশ্চয়তা: আমাদের গ্রিণ টি সরাসরি সিলেট চা গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে সংগ্রহ করা হয়, যেখানে গুণগত মানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে যে আপনি পাচ্ছেন শতভাগ ভেজালমুক্ত এবং বিশুদ্ধ চা, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
৩. বিশুদ্ধতা এবং হাতে তৈরি যত্ন: তোহফা’র প্রতিটি প্যাকেটে থাকে শতভাগ বিশুদ্ধতার প্রতিশ্রুতি। তাই আপনি এবং আপনার পরিবার নিশ্চিন্তে গ্রহণ করতে পারেন এই গ্রিণ টি।
তোহফা গ্রিণ টি শুধু একটি পানীয় নয়, এটি সুস্থ জীবনধারার একটি অংশ। এর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনাকে সতেজ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
গ্রীন টি এর উপকারিতাঃ-
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এর সমৃদ্ধ উৎস: গ্রিন টিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাটেচিন (catechin) নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, বিশেষ করে এপিগালোকাটেচিন গ্যালেট (EGCG)। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালস-এর বিরুদ্ধে লড়াই করে কোষের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমে আসে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে: গ্রিন টি মেটাবলিজম বা হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং চর্বি গলাতে সাহায্য করে। তাই ওজন কমানোর জন্য এটি একটি কার্যকর পানীয়।
- মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়: গ্রিন টিতে থাকা ক্যাফেইন এবং এল-থেনাইন (L-theanine) মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। ক্যাফেইন মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং এল-থেনাইন দুশ্চিন্তা কমিয়ে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে গ্রিণ টি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য: গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার, যেমন – স্তন, প্রোস্টেট এবং কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
- ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।
- দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: গ্রিন টি মুখের ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে, যা দাঁতের ক্ষয় এবং দুর্গন্ধ প্রতিরোধে সহায়ক।

