‘হাতে ভাজা মুড়ি’ হলো আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যের একটি অংশ। আমাদের দেশে নাটোর ও বরিশাল জেলার হাতে ভাজা মুড়ি খুব বিখ্যাত। এটি আমাদের সংস্কৃতি এবং খাবারের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। মুড়ি হলো এক ধরনের ফুলানো চাল, যা মূলত ধান থেকে তৈরি করা হয়। এটি হালকা জলখাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। প্রায় সকলেই হাতে ভাজা মুড়ি পছন্দ করেন এর বিশেষ স্বাদ ও গুণের জন্য।
মুড়ি একটি জনপ্রিয় এবং বহুমুখী খাবার। এটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। অনেকেই সন্ধ্যায় চা বা কফির সাথে মুড়ি খেতে পছন্দ করেন। মুড়ির সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হলো ঝাল মুড়ি। তাছাড়া মুড়ি দিয়ে মিষ্টি মোয়া তৈরি করা হয় যা বড় থেকে ছোট সকলের প্রিয়।
হাতে ভাজা মুড়ির স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
- হাতে ভাজা মুড়ি তে রয়েছে নিউরোট্রান্সমিটার পুষ্টিগুণ। ফলে মুড়ি খেলে মস্তিষ্কের স্নায়ু উদ্দীপনাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্কের উন্নতি এবং কগনেটিভ ফাংশনের উন্নিতে সাহায্য করে।
- হাতে ভাজা মুড়ি হালকা এবং হজমে সহায়ক। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন ডি থাকে, যা হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এটি অ্যাসিডিটি কমাতেও বেশ কার্যকর। তাছাড়া, এতে ফাইবার থাকায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
আমাদের হাতে ভাজা মুড়ির বিশেষত্ব কি?
- আমরা সাধারণত, আমন ধান, নাকুচি ধান ও পাটজাত ধান থেকে হাতে ভাঁজা মুড়ি উৎপাদন করে থাকি যা নাটোর ও বরিশাল থেকে সংগ্রহ করা হয়।
- এতে কোনো ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। ফাইবার সমৃদ্ধ মুড়ি যা বাহ্যিক ভাবে দেখলেই বুঝা যায়।
- চাল থেকে মুড়ি তৈরি হয়ে গেলে, সেগুলোকে চালুনি দিয়ে ছেঁকে নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় মুড়ি থেকে বালি পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যায়। যা ফলে আমাদের মুড়িতে কোনো প্রকার ধুলা-বালি, কণা অবশিষ্ট থাকে না।
- হাতে ভাজা মুড়ি সাধারণত মেশিনে তৈরি মুড়ির চেয়ে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর হয়।