হাতে ভাজা মুড়ি তৈরিতে ধান সংগ্রহ করে প্রথমে আধাআধি সিদ্ধ করা হয়। পরে একে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়। এরপর আবার পুরোপুরি সিদ্ধ করে রোদে শুকিয়ে তা দিয়ে তৈরি করা হয় চাল। আর সেই চাল থেকে শুধু লবণ-পানি দিয়ে হাতে ভেজে তৈরি করা হয় মোটা মুড়ি। ক্ষতিকারক রাসায়নিক ছাড়াই তৈরি করা এ মুড়ি স্বাস্থ্যসম্মত এবং খেতে সুস্বাদু।
হাতে ভাজা মুড়ির পুষ্টিগুণঃ-
হাতে ভাজা মুড়ি তে রয়েছে নিউরোট্রান্সমিটার পুষ্টিগুণ। ফলে মুড়ি খেলে মস্তিষ্কের স্নায়ু উদ্দীপনাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্কের উন্নতি এবং কগনেটিভ ফাংশনের উন্নিতে সাহায্য করে।
১. পেটের সমস্যা: পেটের সমস্যায় শুকনো মুড়ি কিংবা ভেজা মুড়ি খেলে তাৎক্ষণিক উপকার পাওয়া যায়।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: মুড়িতে ‘ভিটামিন বি’ এবং প্রচুর পরিমাণে মিনারেল থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই করোনা কালে ‘ভিটামিন সি’ জাতীয় খাবারের পাশাপাশি মুড়ি ও কিন্তু আপনাকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করবে।
৩. হাড় ও দাঁত : মুড়ি ‘ভিটামিন ডি’, রাইবোফ্লাভিন এবং থিয়ামিনের উৎস। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফাইবার। তাই মুড়ি খেলে হাড় ও দাঁত শক্ত হয়। সুতরাং,বুড়া বয়সেও দাঁত দিয়ে গরুর হাড়-মাংস চিবিয়ে খেতে আপনাকে সহায়তা করবে এই মুড়ি।
৪. শক্তির উৎস: মুড়িতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে শর্করা। এটি আমাদের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন কাজে সক্রিয় থাকতে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে মুড়ি।
৫. ডায়েট এর ক্ষেত্রে: আজকাল মানুষ শরীর নিয়ে বেশ সচেতন।ছেলে-মেয়ে, ছোট-বড় নির্বিশেষে সকলকে আজকাল ডায়েট করতে দেখা যায়।ডায়েট এর ক্ষেত্রে এই মুড়ি আপনাকে খুব ভাল কাজ দিবে।ক্ষিধে লাগলে ঝটপট মুড়ি খেয়ে নিবেন।এতে না আছে ক্যালরি বাড়ার চিন্তা, না আছে ফ্যাট বাড়ার সম্ভাবনা ।
তোহফার মুড়ি কেনো সেরা ?
১. হাতে ভাজা মুড়ি যা একেবারে গ্রাম পর্যায় থেকে আনা হয়।
২. মেশিনের মুড়ির মত ভেতরে ফাপা হয় না।
৩. মুড়ি ঝকঝকে, সুন্দর করার জন্য কোন ধরণের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না।
৪. ফাইবার সমৃদ্ধ মুড়ি যা বাহ্যিক ভাবে দেখলেই বুঝা যায়।
- তাই মেশিনের মুড়ি না খেয়ে হাতে ভাজা মুড়ি খান। মুড়ির আসল মজা হাতে ভাজা মুড়িতেই।