এক্সট্রা ভার্জিন জয়তুন তেল কি ?
জলপাই বা জয়তুন দুটি একই জিনিস শুধু বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন জাত উৎপাদন হয়, তাই আমাদের দেশে যেটা হয় তাকে আমরা বাঙলাতে জলপাই ইংরেজিতে অলিভ বলি কিন্তু আরবি তে জয়তুন বলা হয়ে থাকে, এক্সট্রা ভার্জিন জয়তুন অয়েল হলো জয়তুন ফল থেকে তৈরি সবচেয়ে উচ্চমানের এবং বিশুদ্ধ তেল। এই তেল তৈরি করতে কোনো ধরনের তাপ বা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না, শুধুমাত্র যান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে ঠান্ডা চাপ (cold-pressed) প্রয়োগ করে এই তেল নিষ্কাশন করা হয়। এর ফলে, তেলের প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ, স্বাদ এবং ঘ্রাণ অক্ষুণ্ণ থাকে। এই তেলে ওলিক অ্যাসিডের পরিমাণ খুবই কম (০.৮% এর নিচে) থাকে, যা এর উচ্চ গুণগত মানের নির্দেশক।
আমাদের জয়তুন অয়েল কেন সেরা?
- আমাদের জয়তুন তেল সরাসরি তুরস্ক থেকে নিজস্ব আমদানিকারকের মাধ্যমে আনা হয়। কোনো মধ্যস্বত্বভোগী না থাকায় এর বিশুদ্ধতা থাকে শতভাগ অটুট।
- আমরা কেবল এক্সট্রা ভার্জিন গ্রেডের জয়তুন তেল সরবরাহ করি, যা জয়তুনের প্রথম চাপ থেকে পাওয়া যায়। এটি কোল্ড-প্রেসড পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত করা হয়, যার ফলে তাপের ব্যবহার ছাড়াই এর সমস্ত প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সুরক্ষিত থাকে।
- আমদানি থেকে শুরু করে প্যাকেজিং পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে হয়। ফলে তেলের গুণগত মান এবং প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ অক্ষুণ্ণ থাকে।
- আমরা নিশ্চিত করি যে, আপনি পাচ্ছেন এমন একটি জয়তুন তেল যা শুধু খাঁটিই নয়, বরং স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদুও।
এক্সট্রা ভার্জিন জয়তুন অয়েল বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যায়।
- রান্নায়: এটি হালকা ভাজা বা বেক করার জন্য আদর্শ। তবে, এর সবচেয়ে ভালো ব্যবহার হয় সালাদের সাথে মিশিয়ে খাওয়া।
- ড্রেসিং, পাস্তা, স্যুপ, বা পাউরুটির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার জন্য। যেহেতু এটি তাপের প্রতি সংবেদনশীল, তাই উচ্চ তাপে রান্নায় এর পুষ্টিগুণ কিছুটা নষ্ট হতে পারে।
- ত্বকের যত্নে: এটি একটি চমৎকার প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে, বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে এবং এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে। মেকআপ রিমুভার হিসেবেও এটি ব্যবহার করা যায়।
- চুলের যত্নে: চুলের গোড়ায় এটি ব্যবহার করলে চুল মজবুত হয়, খুশকি কমে এবং চুল মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকে।
জয়তুন তেলের উপকারিতাঃ
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: এতে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
- অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি: এই তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল থাকে, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে।
- স্ট্রোক প্রতিরোধ: নিয়মিত এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমে।
- হজমে সহায়তা: এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক চামচ খালি পেটে খেলে অন্ত্র পরিষ্কার থাকে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা: এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট মেটাবলিজম উন্নত করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।