‘দারুচিনি‘ একটি অত্যন্ত উপকারী মশলা যা রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ঔষধি গুণও ধারণ করে। দারুচিনি সুস্বাদু এবং সুগন্ধি উভয় খাবারেই ব্যবহার করা যায়। এটি পোলাও, বিরিয়ানি, মাংসের কারি, পায়েস, ফিরনি এবং কেকের মতো মিষ্টি ও ঝাল উভয় ধরনের খাবারেই ব্যবহার করা হয়। দারুচিনি খাবারের স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়িয়ে তোলে। দারুচিনি দিয়ে চা তৈরি করে খেতে খাওয়া যায় অনেকে গরম পানির সাথে দারুচিনির গুঁড়ো, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করে, এতে সর্দি-কাশি ও হজমের সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।
দারুচিনির উপকারিতাঃ
- দারুচিনি শরীরের অক্সিডেটিভ ক্ষতি রোধ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কার্যকর।
- দারুচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নত করে। খাবার খাওয়ার পর রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।
- দারুচিনি খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
- দারুচিনি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা যেমন বদহজম, পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
- সর্দি, কাশি এবং গলা ব্যথার জন্য দারুচিনি খুবই উপকারী। এর মধ্যে থাকা সিনামালডিহাইড নামক উপাদানটি ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- দারুচিনি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সুরক্ষা দেয় এবং আলঝেইমার ও পারকিনসনসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- ত্বকের জন্য উপকারী: দারুচিনির অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমাতে সহায়ক। এটি মধু বা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
কিছু সতর্কতা: গর্ভবতী মহিলাদের অতিরিক্ত দারুচিনি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। ডায়াবেটিসের ওষুধ সেবনকারী ব্যক্তিদের শুধু দারুচিনি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।