কলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে। এটি একটি সহজলভ্য ও পুষ্টিকর ফল। প্রধান কিছু উপকারিতা নিচে দেওয়া হলো:
- ১. তাৎক্ষণিক শক্তি যোগান: কলায় থাকা প্রাকৃতিক চিনি (সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ) এবং কার্বোহাইড্রেট খুব দ্রুত শরীরে শক্তি সরবরাহ করে।
- ২. হজমে সহায়তা: এতে থাকা ফাইবার বা আঁশ হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক।
- ৩. হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখা: কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- ৪. মেজাজ ভালো রাখে: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা শরীরে সেরোটোনিন হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা মেজাজ ভালো রাখতে সহায়ক।
- ৫. রক্তস্বল্পতা দূর করা: কলায় আয়রন থাকে যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
- ৬. কিডনি সুস্থ রাখা: পটাশিয়াম কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- ৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা: কলার ফাইবার পেট ভরা রাখে, ফলে ক্ষুধা কম লাগে এবং অতিরিক্ত খাওয়া কমে যাওয়ায় ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
- ৮. ভিটামিন এবং মিনারেলের উৎস: এটি ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদানের ভালো উৎস।
- ৯. পেশি শক্তিশালী করা: কলায় থাকা পটাশিয়াম পেশি শক্তিশালী করতে এবং পেশির সমস্যা কমাতে সহায়ক।
তবে মনে রাখবেন, যে কোনো খাবারই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। যদি আপনার কোনো নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে (যেমন, উচ্চ পটাশিয়াম নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন এমন কিডনি রোগ), তাহলে কলার পরিমাণ সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

