ভারতীয় উপমহাদেশের রন্ধন প্রণালীতে ব্যবহৃত একটি অতি পরিচিত উপকরন হল গরম-মশলা। তবে এটি কোন একক প্রজাতির মশলা নয়। মূলত বিভিন্ন মশলার সংমিশ্রণে এটি প্রস্তুত করা হয়। সাধারনত গরম মশলার উপকরণ গুলি হল – এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, সাদা ও কালো গোল মরিচ, জায়ফল, জয়ত্রি, জিরা,ধনিয়া ইত্যাদি। কিন্তু জায়গা বিশেষে এর অন্য রূপ দেখতে পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে এর মধ্যে অন্য আরও কিছু বিশেষ উপকরন মেশানো হয়। যেমন তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, মৌরী, সরিষা ইত্যাদি
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে গরম মশলা শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এই মশলার নামের সাথে “গরম” শব্দটি ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রান্নায় অতিরিক্ত গন্ধ যোগ করার সাথে সাথে স্বাদ বৃদ্ধির জন্যও এটি ব্যবহৃত হয়। সাধারনত রান্নার শেষের পর্যায়ে মশলা মেশানো হয়।
গরম মশলার পুষ্টিগুণঃ-
• গরম মশলা পাকস্থলী থেকে বিভিন্ন উপকারী রস নিঃসরণে সাহায্য করে যা হজমের সহায়ক। গরম মশলার মধ্যে লবঙ্গ এবং জিরা অ্যাসিডিটি প্রতিরোধে সাহায্য করে। মরিচ এবং এলাচ হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
• গরম মশলা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসে সমৃদ্ধ, যা বিপাক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।গরম মশলায় থাকা বিভিন্ন খনিজ পদার্থ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
• গরম মশলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চামড়ার সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
• গরম মশলা হজম ক্ষমতা বাড়ায়, পেট ফাঁপা, পেট ফোলা এমনকি বমি বমি ভাব কমাতেও সাহায্য করে।
• গরম মশলার মধ্যে লবঙ্গ এবং এলাচ মুখের দুর্গন্ধ রোধ করে।
কেন খাবেন আসল ফুডের গরম মশলা?
• বাছাই করা বিভিন্ন ধরনের মশলা।
• রান্নায় আনবে পারফেক্ট স্বাদ, সুগন্ধ ও তৃপ্তি।
• শতভাগ নিরাপদ ও বিশুদ্ধ।
• গুঁড়ো করার ঝামেলা নেই।