তোকমা দানার সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবহার হলো বিভিন্ন ধরনের পানীয় ও শরবতে। এটি পানি, লেবুর শরবত, ফালুদা, মিল্কশেক, লাচ্ছি, এবং স্মুদিতে যোগ করা হয়। তোকমা দানা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ফুলে ওঠে এবং জেলের মতো একটি আস্তরণ তৈরি হয়, যা পানীয়কে ঘন করে এবং শীতল অনুভূতি দেয়। গরমের দিনে এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
বিভিন্ন ডেজার্টে তোকমা দানা ব্যবহার করা হয়। যেমন:
- ফালুদা: ফালুদার একটি অপরিহার্য উপাদান হলো তোকমা দানা।
- পুডিং: এটি চিয়া সিডের মতোই পুডিং তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। তোকমা দানা দুধ বা ফলের রসের সাথে মিশিয়ে নরম ও সুস্বাদু পুডিং তৈরি করা যায়।
- আইসক্রিম: আইসক্রিমের সাথে মিশিয়ে এর স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়।
কিছু রান্নার রেসিপিতেও তোকমা দানা ব্যবহার করা হয়। যেমন:
- সালাদ: সালাদে তোকমা দানা যোগ করলে তা একটি ক্রাঞ্চি বা জেলির মতো টেক্সচার দিতে পারে।
- স্যুপ: স্যুপকে ঘন করার জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
- বেকিং: কিছু বেকিং আইটেমেও এটি চিয়া সিড বা অন্যান্য শস্যের বিকল্প হিসেবে তোকমা দানা ব্যবহার করা হয়।
তোকমা দানার স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
তোকমা দানা তার স্বাস্থ্যগত বৈশিষ্ট্যের জন্যও পরিচিত। এটি ওজন কমানো, হজমের উন্নতি, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই অনেকেই এটি সকালে খালি পেটে বা খাবারের আগে জলে ভিজিয়ে পান করেন।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: তোকমা দানা ব্যবহারের আগে অবশ্যই এটিকে কমপক্ষে ২০-৩০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে, কারণ শুকনো অবস্থায় এটি সরাসরি খাওয়া উচিত নয়। এটি ফোলা অবস্থায় হজম করা সহজ এবং নিরাপদ।


