চিয়া বীজ একটি ছোট আকারের বীজ হলেও এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। একে সুপারফুড বলা হয় কারণ এটি নানা রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। আমাদের চিয়া বীজ আপনার সুস্থ জীবনের সঙ্গী হতে পারে। এটি আপনার প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে একটি মূল্যবান সংযোজন। চিয়া সিডে লুকিয়ে আছে অসীম শক্তি, যা শরীরকে রাখে সুস্থ ও সতেজ।
কেন আমাদের চিয়া বীজ সেরা?
আমাদের চিয়া বীজ বাজারের অন্যান্য চিয়া বীজ থেকে আলাদা, কারণ আমরা গুণগত মান নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
- ১০০% খাঁটি ও পুষ্টিকর: আমাদের চিয়া বীজ শতভাগ খাঁটি এবং কোনো রকম ভেজাল ছাড়াই সরাসরি আপনার কাছে পৌঁছে। এতে এর সব প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকে।
- পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর: চিয়া বীজ প্যাকেজিং-এর আগে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। ফলে বীজগুলো ধুলো-বালিমুক্ত এবং সম্পূর্ণ পরিষ্কার থাকে।
- উচ্চ মানসম্পন্ন: সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া নিজস্ব মাধ্যমে হওয়াতে মানের ওপর আমাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। এটি নিশ্চিত করে যে আপনি সব সময় সেরা মানের পণ্যটিই পাচ্ছেন।
- সরাসরি আমদানি: নিজস্ব আমদানিকারকের মাধ্যমে উন্নত মানের চিয়া বীজ সরাসরি সংগ্রহ করা হয়। তাই প্রতিটি দানা বাছাই করা এবং পাথর বা অন্য কোনো অপদ্রব্যমুক্ত।
চিয়া বীজের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতাঃ
- প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর: চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালং শাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন এবং কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম চিয়া বীজে বিদ্যামান।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: চিয়া বীজে উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে, যা পানি শোষণ করে পেটে ফুলে ওঠে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। ফলে ক্ষুধা কমে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
- হাড় ও পেশীর স্বাস্থ্য: চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস থাকে, যা হাড়কে মজবুত করে এবং হাড়ের ক্ষয়রোধে সাহায্য করে।
- হজমশক্তি বৃদ্ধি: চিয়া বীজে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
- প্রদাহ হ্রাস: চিয়া বীজে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। প্রদাহ অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ, তাই এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে।
- ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য: চিয়া বীজ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ব্রণ ও দাগ-ছোপ কমাতে সাহায্য করে। এর পুষ্টি উপাদান চুলকে মজবুত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতেও সহায়ক।
- শারীরিক শক্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি: চিয়া বীজ ধীরে ধীরে শক্তি নির্গত করে, যা সারাদিন শরীরে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
- মানসিক স্বাস্থ্য: চিয়া বীজে থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা ভালো ঘুম এবং মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ।
– চিয়া বীজ স্মুদি, দুধ, দই, ওটসমিল, সালাদ বা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে ১-২ চা চামচ চিয়া সিড এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ১০-২০ মিনিট ভজিয়ে রাখার পর পান করুন।

