রেড়ি তেল (Castor Oil) এটাকে ভেন্নার তেলও বলা হয়। হালকা কালচে রঙের এই তেল মূলত রিসিনাস কমিউনিস্ট প্রজাতির উদ্ভিদের বীজ থেকে নিষ্কাশন এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় এর মধ্যে বিষাক্ত এনজাইম রেসিন থাকে যা ব্যবহার করা অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই হিটিং প্রসেসের মাধ্যমে এর বিষাক্ত প্রভাব কে ধ্বংস করে তবেই তাকে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হয় । ক্রান্তীয় আবহাওয়া সম্পন্ন এলাকা যেমন আফ্রিকা এবং ভারতে এই তেল বহুল পরিমাণে পাওয়া যায়। প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত এই তেল শুধুমাত্র দৈনন্দিক কাজে নয় প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতেও বহুল ব্যবহৃত হতো। বিভিন্ন ভাষায় এই তেলকে নানা নামে ডাকা হয় যেমন- আরান্ডি কা তেল (হিন্দি), আমুদামু (তেলেগু), এরান্ডলা তেলা (মারাঠী), আমানাক্ক এনি (তামিল), রেড়ির তেল (বাঙলা)। রেড়ির তেল একটি অতি সাধারণ এবং প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন ভেষজ তেল যা দৈনন্দিন নানান কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্য সম্মৃদ্ধ এই প্রাকৃতিক উপকরণে আছে অ্যান্টিইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল গুণাগুণ।
রেড়ির তেলের ঔষধি গুণাগুণ:-
১। চুলকে লম্বা, ঘন করতে এবং তার প্রাকৃতিক উজ্বলতা বজায় রাখতে নিয়মিতভাবে ক্যাস্টর অয়েল বা রেড়ির তেল দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়
২। যারা মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্প ইনফেকশনের সমস্যায় ভোগেন তারা যদি প্রত্যেক বার চুল ধোওয়ার আগে ক্যাস্টর তেল (Castor Oil) দিয়ে মাথায় মালিশ করেন, তাহলে চুল পড়া সমস্যা থেকে বাঁচা যেতে পারে।
৩। চুলের প্রাকৃতিক রং ঠিক রাখতেও এই তেলের উপকারিতাকে অস্বীকার করা যায় না।
৪। চুলকে তার গোড়া থেকে ঝলমলে ও মসৃণ করতে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে এই তেল অনেক সাহায্য করে।
৫। ত্বকের শুষ্কতা, ব্রণ বা রোদে পোড়াভাবের জন্য কখনো কখনো মুখের ওপরে ফোলা ভাব দেখা দেয়। ক্যাস্টর অয়েল এটি দূর করতে সাহায্য করে।
৬। ত্বকের ব্রণ কমায়।
৭। ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে
৮। অ্যান্টি এজিং গুণাবলি থাকায় ত্বকের গভীরে গিয়ে কোলাজেন ও ইলাস্টিন নামক প্রোটিন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং ত্বকের সজীবতা বা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৯। এতে ভিটামিন ই সহ বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান যা ত্বক ও চুল ভালো রাখে।
১০। আগুনে পোড়া দাগ দূর করতে এই তেল ভালো কাজ করে।
১১। নিয়মিত ব্যবহারে মাথা ঠান্ডা থাকে।
কেন ব্যবহার করবেন তোহফার রেড়ি/ভেন্নার তেল (Castor Oil)?
- বাছাইকৃত রেড়ির বীজ থেকে তৈরি, নিজস্ব ফর্মুলায় তৈরি, প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত, শতভাগ বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যসম্মত, অসাধারণ ঔষধি গুণসম্পন্ন