একবার যদি গভীরভাবে চিন্তা করতাম যে কাটিং- পলিশিং সাদা চাল অথবা মিনিকেট চালের ভাত খাওয়া কতটা ক্ষতিকর তাহলে আমরা ঐ ভাত খাওয়াই ছেড়ে দিতাম। আদি জাতের লাল চাল গুলোর পুষ্টিগুণ বিবেচনা করে আমাদের এ ধরণের চালে অভ্যস্ত হওয়া উচিৎ, এতে দীর্ঘ সময়ের জন্য সুফল পাবেন ইনশাআল্লাহ্।
লাল চালের উপকারিতাঃ-
১. লাল চালের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এতে আঁশ থাকে বেশি। আর যেকোনো খাবারে আঁশ থাকলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে কোলেস্টেরল কমে, হজমে সাহায্য করে। ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে অন্ত্রের কোষের সংস্পর্শে বেশিক্ষণ থাকতে বাধা দেয়। এ ছাড়া লাল চাল সেলেনিয়ামের ভালো উৎস। এই খনিজ দ্রব্যের সামান্য পরিমাণ অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
২. লাল চালে ভিটামিন বি১, বি৩, বি৬ ও ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস প্রভৃতি খনিজ পদার্থ বেশি মাত্রায় থাকে। শরীরের জন্য এগুলো খুব দরকার। সাদা চাল তৈরির প্রক্রিয়ায় চালের এসব উপাদান অনেকাংশে নষ্ট হয়ে যায়। আঁশও কমে যায়। এসব বিবেচনায় লাল চাল নিঃসন্দেহে সাদা চালের চেয়ে ভালো।
৩. লাল চালে প্রচুর পরিমাণে থাকা ভিটামিন বি৬ শরীরের প্রয়োজনীয় লোহিত কণিকা ও সেরোটোনিন উৎপাদন করে। এতে বেশি পরিমাণে আয়রন থাকায় খেতে খুব সুস্বাদু নয়। কিন্তু রক্তাল্পতায় ভোগা মানুষের জন্য লাল চাল ওষুধের মতো কাজ করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে বলে লাল চাল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও উপকারী।
লাল চালে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে। উপাদান দুটি একসঙ্গে হাড় ও দাঁত ভালো রাখে। হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। ম্যাগনেশিয়াম মাইগ্রেন কমায়, রক্তচাপ কমায় ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। লাল চালের অ্যানথোসায়ানিন ত্বকের ভাঁজ কমায়, ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখে। অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকায় সূর্যের আলোর ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
তোহফার লাল চাল কেনো নিবেন..?
- আমাদের লাল চালে কোনো প্রকার কৃত্রিম রং মিশানো নেই।
- একদম কৃষক পর্যায় থেকে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সংগ্রহ করা হয়।
- আমাদের চাল গ্রামের ছোট হাস্কিং/হলার মেশিনে ভাঙানো।