বাংলাদেশ জনপ্রিয় চালের মধ্যে অন্যতম হলো বি আর- ২৯ চাল।গত কয়েক দশকে চাল উৎপাদনে ধারাবাহিকতা থাকায় দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় স্বস্তি এসেছে, যার পেছনে বড় অবদান রয়েছে এই চালের।
দেশের খাদ্যনিরাপত্তা টেকসই রাখতে এই চালের ভূমিকা ব্যাপক উচ্চফলন, সুস্বাদু ভাত, মাঝারি উঁচু গাছ বলে কৃষকের খড়ের চাহিদা পূরণ ও মোটামুটি রোগবালাই প্রতিরোধী হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে সহজেই জনপ্রিয়তা পায়। এখন পর্যন্ত সুদীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বোরো মৌসুমে ধান আবাদের জন্য বি আর- ২৯ জাতই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
বি আর- ২৯ চালের পুষ্টিগুনঃ-
• এতে থাকা ফাইবার ওজন কমাতে সহায়তা করে।
• কোষ্ঠকাঠিন্য ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এই চাল।
• এতে উপস্থিত ফাইবার ডায়াবেটিস প্রতিরোধে দারুণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
• এ্ই চালে রয়েছে নিউরোট্রান্সমিটার সদৃশ কেমিক্যাল যা মস্তিষ্কের অ্যালঝেইমার রোগ প্রতিরোধ করে।
• এতে রয়েছে ভিটামিন বি ও ই যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিপাকীয় শক্তি বৃদ্ধিতে দারুণ উপকারী।
• তাছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ নামক মিনারেলস রয়েছে।
তোহফার চাল কেন খাবেনঃ-
- কৃষক পর্যায়ে ধানের খেতে সর্বোচ্চ জৈব সারের ব্যবহার।
- উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ক্ষতিকারক কীটনাশকের ব্যবহার মুক্ত।
- সরাসরি নিজস্ব তত্ত্বাবধানে কৃষক হতে বাছাইকৃত ধান থেকে চাল করা হয়েছে।
- নিজস্ব চাতাল ও মিল হতে চাল উৎপাদন ও সরবরাহ।
- ধান শেষ রাতে সিদ্ধ করে ৫ দিন ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে চাল করা হয় এতে চালের গুনগত মান ঠিক থাকে।
- গ্রামের হাস্কিং মিলে ভাঙানো স্বাস্থ্যসম্মত চাল।
- ফাইবার সমৃদ্ধ পুষ্টিগুন সম্পন্ন চাল।
- ক্ষতিকর ইউরিয়া সার, মোম পলিশ , ব্রাইটনার, কংকর, লাল, মরা ও স্যালাইন পানি মুক্ত।
- উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং প্যাকেজিংয়ে নিজস্ব তদারকি।
- শতভাগ ভেজালমুক্ত ও খাঁটি চাল।
- সারা বছর চালের গুনগত মান ঠিক রাখার জন্য আমারা পর্যপ্ত ধান নিজস্ব গোডাউনে মজুদ রাখি।
- সঠিক ব্যবস্থাপনা আর মধ্যস্বত্তভোগী না রেখে আমরা চেষ্টা করছি দামটাকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে।
- রান্নার পরে ভাত সাদা, ঝরঝরে, সুস্বাদু, মাঝারি চিকন হয়।